প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দেবে ভারত। বাংলাদেশ সরকার সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভারত সফর করা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে সহযোগিতা, ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ৭টি এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর নরেন্দ্র মোদি এবং আমি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেই। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের সফরে গঙ্গার পর প্রথমবারের মতো অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানিবণ্টনে আমরা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। এই সমঝোতা স্মারকের ফলে রহিমপুর সংযোগ খালের মাধ্যমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাওয়া যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, মহাকাশ প্রযুক্তি, গ্রিন ইকোনমি, সুনীল অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সব বিষয়েই সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ সফরেও আমরা একেবারে শূন্য হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্র যার সব দিকে ভারত। একপাশে ছোট্ট একটুখানি মিয়ানমার। বাকি সীমান্তজুড়ে বঙ্গোপসাগর, এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতের সব দল-মত এক থাকে।’