পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। এবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঈদে বাড়ি গেছেন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফিরছেনও এই সেতু দিয়ে। এতে সেতুর জাজিরা প্রান্তে শুক্রবার বিকেল থেকে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকলেও রাত ৮টার পর থেকে তা চরম আকার ধারণ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাজিরা টিঅ্যান্ডটি মোড় থেকে নড়িয়া রাজনগর ইউনিয়নের জামতলা ছাড়িয়ে রাত আট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়াও কাজির হাটের পরেও কিছু অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চালক ও স্থানীয়রা বলছেন সরু রাস্তার কারণেই এ যানজটের ভোগান্তি।
নড়িয়া ভোজেশ্বর থেকে আসা ঢাকাগামী গ্লোরি পরিবহনের যাত্রী আব্দুস সামাদ বলেন, আমি মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় যাবো। সন্ধ্যায় গাড়িতে উঠেছি, এখন আটকে আছি। কখন যে ঢাকায় যাবো আল্লাহ ভালো জানেন।
সাভার ধামরাই থেকে আনন্দ ভ্রমণে আশা কয়েকজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলেও এ এলাকার সড়কের উন্নয়ন হয়নি। আমরা চার ঘণ্টার বেশি আটকে আছি। আমাদের আনন্দ ভ্রমণ মাটি হয়ে গেছে। কখন যে বাসায় ফিরবো, তা নিয়েই এখন চিন্তা হচ্ছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে শরীয়তপুর পরিবহনের এক যাত্রী রাসেল বলেন, আমাদের জেলায় পদ্মা সেতু। আর আমরাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। চার ঘণ্টা ধরে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।
জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস বলেন, আমরা চেষ্টা করছি গাড়িগুলো সুন্দরভাবে সাইড করে ছাড়িয়ে দিতে। যাতে রাস্তায় কোনো যানজট না থাকে।