মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া পিকনিকের ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঢাকা অঞ্চলের ডুবুরি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আলভী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান করা হবে। নদীতে স্রোতের কারণে নিখোঁজদের দেহ ভেসে যেতে পারে।
রোববার সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। সকালে তারা অভিযানে অংশ নেন।
এর আগে শনিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পিকনিকের একটি ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৪৬ যাত্রীর মধ্যে দুর্ঘটনার পর আটজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ জনকে। এ ঘটনায় এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া আটজন হলেন- মোকসেদা (৪০), হ্যাপি আক্তার (২৮) ও তার বোন পপি (২৬), হুমায়রা (৫ মাস), ফারিহান (১০), রাকিব (১২) ও তার ভাই সাকিব (৮) ও সাজিবুল (৫)। তাদের সবার বাড়ি সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দি ইউনিয়নে।
এদিকে ট্রলারডুবিতে আটজন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।