প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

পুরান ঢাকার ডিআইটি পুকুর দখলমুক্ত করা হবে: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জুন ২০২৩ ১৭:৪৪:০৫ | আপডেট: ১০ মাস আগে
পুরান ঢাকার ডিআইটি পুকুর দখলমুক্ত করা হবে: মেয়র তাপস

পর্চা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করে পুরান ঢাকার ডিআইটি পুকুর দখলমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়ালসেতুর নীচে সৌন্দর্যবর্ধনের কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘ডিআইটি পুকুর নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের সম্পত্তি বিভাগকে জরিপ করতে বলে দিয়েছি। সেটা সম্পত্তি বিভাগ জরিপ করে দেখবে। জমিটার স্বত্ব অনেকেই দাবি করছে। সে বিষয়টা সত্য নাকি। আমার ধারণা সেটা সত্য না। যদি সত্য না হয়ে থাকে তাহলে সে বিষয়টা খতিয়ে দেখে আমরা রাজউকের সঙ্গে কথা বলে সেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেব। কেউ এটা দখল করতে পারব না। আমরা পুরোটা আবার দখলমুক্ত করে পর্চা অনুযায়ী পুকুরের যে সীমানা তা নির্ধারণ করে পুরোটা দখলমুক্ত করব।’

বিভিন্ন সংস্থার কাছে থাকা জলাশয়, পুকুর আইন অনুযায়ী করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর না করায় দখলের আগ্রাসন বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা কিন্তু রাজউককে জানিয়েছিলাম, এটা দখলমুক্ত করতে অথবা আমাদের কাছে হস্তান্তর করতে। কারণ, সকল জলাশয়-পুকুর সংরক্ষণ করা কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব-কর্তব্য। কিন্তু এখনো বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর অনেক সংস্থার কাছে রয়ে গেছে। যার কারণে আমরা যথাযথ তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে চাইলেও নিতে পারছি না। যেমন খিলগাঁওয়ের তালতলা ঝিল। সেটাও কিন্তু আমাদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আমরা গণপূর্তের কাছে আবেদন করে বসে আছি। সেটাও দখল হচ্ছে। দিনে দিনে দখলের আগ্রাসন আরও বেড়ে যাচ্ছে।’

জনগণের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় উড়ালসেতুর নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এই উড়ালসেতু নিচে যে পরিবেশ রয়েছে, সেটাকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় তা ঢাকাবাসীর অনেক দিনের প্রাণের দাবি। দীর্ঘদিন ধরে এটা অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। পরামর্শকদের সঙ্গে পুরো এলাকাটা হেঁটে হেঁটে আমরা দেখছি। কোন জায়গায় কি চাহিদা, কোন জায়গায় এলাকাবাসীর কি প্রয়োজন রয়েছে সেটাকে মাথায় নিয়ে এখানে কিভাবে সৌন্দর্যবর্ধন করা যায় সে বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখছি।’

এ সময় মগবাজার উড়ালসেতুর নিচে পুলিশের গাড়ি সরানো হবে কিনা সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, ‘মগবাজার উড়ালসেতুর নিচের অংশসহ আমরা ঢাকা শহরের পুরো অংশে যে ওরাল সেতু রয়েছে, তার নিচে আমরা কাজ আরম্ভ করেছি। এখানে আমরা মগবাজার অংশে কাজ আরম্ভ করেছি। সেখানে একটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বসার জায়গা করা হবে। মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল রাখার জায়গা করা হবে। এখানে যত্রতত্র কিছু পুলিশের গাড়ি রাখা হয়েছে। সেগুলো আলামত হিসেবে ব্যবহার করে। সেগুলো আমরা তাদেরকে সরিয়ে ফেলতে বলেছি। তারা দুএকদিনের মধ্যেই সরিয়ে ফেলবে। আমরা পুরো এলাকাটা নিয়ে আমাদের কাজগুলো সম্পন্ন করব।’

এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মগবাজার উড়ালসেতুর নিচে চলমান কাজ ও পরে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম, ধোলাইপাড় দয়াগঞ্জ রেল ব্রীজ পর্যন্ত বক্স কালভার্ট পরিষ্কার কার্যক্রম এবং ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, অঞ্চল-৫’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জয়, ৩৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।