প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

প্রগতি স্কিমে কত পাবেন পেনশন?

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৫১:১৯ | আপডেট: ১ year আগে
প্রগতি স্কিমে কত পাবেন পেনশন?

সর্বজনীন পেনশনের নতুন যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পেনশন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। এ জন্য ‘ইউপেনশন’ নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে পেনশনের বিধিমালার গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।

নতুন এ কর্মসূচিতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের যেকোনো নাগরিক যুক্ত হতে পারবেন। মোট চার ধরনের স্কিমে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে অর্থ জমা দিয়ে মেয়াদান্তে বাড়তি মুনাফাসহ তা ফেরত পাওয়া যাবে। স্কিমগুলো হলো প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। প্রবাস স্কিমে প্রবাসীরা মাসে ১০ হাজার টাকা জমা করে এ সুবিধায় যুক্ত হতে পারবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য রয়েছে প্রগতি কর্মসূচি। 

বেসরকারি কর্মচারীরা মাসিক ২,০০০, ৩,০০০ ও ৫,০০০ টাকা চাঁদা দিয়ে প্রগতি স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন। চাঁদার ৫০ শতাংশ কর্মীরা এবং বাকি ৫০ শতাংশ কোম্পানি পরিশোধ করবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ না নিলে এর কর্মীরা স্বউদ্যোগে এতে অংশ নিতে পারবেন। বেসরকারি কর্মীরা ১৮ বছর বয়সে এ স্কিমে যোগ দিয়ে কোনো ব্যক্তি ৪২ বছরে মাসিক ২,০০০ টাকা চাঁদা দিলে ৬০ বছর বয়স থেকে তিনি মাসে ৬৮,৯৩১ টাকা পেনশন পাবেন। একই মেয়াদে ৩,০০০ টাকা মাসিক চাঁদায় ১,০৩,৩৯৬ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন। ৫,০০০ টাকা মাসিক চাঁদায় ১,৭২,৩২৭ টাকা মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এ স্কিমে ৪২ বছর ধরে ৫ হাজার টাকা করে মাসিক চাঁদা দেওয়া হলে ন্যূনতম ৭৫ বছর পর্যন্ত সময়ে পেনশন হিসাবে মোট পাওয়া যাবে ৩,১০,১৮,৮৬০ টাকা, যা মোট চাঁদার প্রায় ১২.৩১ গুণ। তবে এ স্কিমে ১০ বছরে ধরে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন ২,০০০ টাকা করে দিলে ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি বছর পাওয়া যাবে ৩,০৬০ টাকা। এ ক্ষেত্রেও মোট চাঁদার তুলনায় ২. ৩০ গুণ বেশি পেনশন পাওয়া যাবে।