প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

ফের ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে কুমিল্লা রুটে

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:৪৪:১৬ | আপডেট: ২ years আগে
ফের ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে কুমিল্লা রুটে

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কুমিল্লা রুটে আবার ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। ফলে আগের মতো প্রাণ ফিরে পাবে জেলার লালমাই, আলীশ্বহর ও লাকসামসহ কয়েকটি স্টেশন।

২০১৩ সালে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে ডেমু ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এ ট্রেন কুমিল্লা থেকে চিনকি আস্তানা পৌঁছাত সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। বড়তাকিয়া স্টেশন পৌঁছাত ৭টা ২০ মিনিটে। সাড়ে ৮টা নাগাদ পৌঁছাত চট্টগ্রাম শহরে। বিকেল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে বড়তাকিয়া পৌঁছাত সন্ধ্যা ৬টায়। চিনকি আস্তানা পৌঁছাত ৭টা ১৫ মিনিটে।

এসব অঞ্চলের অনেকেই এ ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রামে অফিস করতেন। সাত বছর ধরে নিয়মিত চলাচলের পর ২০১৭ সালের দিকে ট্রেনটি অচল হয়ে যায়। এর আগে ও পরে অন্যান্য রুটের ১৩টি বিকল হয়।

ডেমু ট্রেনে নিয়মিত ভ্রমণকারীরা চিনকি আস্তানা স্টেশনের যাত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আমি একটি সরকারি অফিসে চাকরি করি। এ ট্রেনেই নিরাপদে চট্টগ্রামে যাতায়াত করতাম। ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এক দিকে বাড়তি খরচ, অপর দিকে পরিবার শহরে রাখতে গিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে।

জানতে চাইলে রেলওয়ের চিনকি আস্তানা স্টেশন মাস্টার সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ স্টেশন থেকে এক সময় অনেক মানুষ ডেমু ট্রেনে যাতায়াত করত। কিন্তু প্রযুক্তিগত ক্রটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এখন আমাদের প্রকৌশলীরা চায়না প্রযুক্তির বিকল্প উদ্ভাবন করেছেন। তাই অচল হয়ে পড়া ট্রেন আবার চালানো সম্ভব হয়েছে। আশা করি এ রুটের ডেমু ট্রেনটি শিগগিরই চালু হবে। এতে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

এ বিষয়ে রেলওয়ের আঞ্চলিক উপসহকারী প্রকৌশলী রিটন চাকমা বলেন, এ ট্রেন চালু হলে আগের মতো আবার কুমিল্লা, ও সীতাকুন্ড উপজেলার কয়েকটি স্টেশন প্রাণ ফিরে পাবে।

জানা যায়, চায়না প্রযুক্তির বিকল্প উদ্ভাবন করে সচল করা হয়েছে অচল হওয়া ডেমু ট্রেনগুলো। বাংলাদেশের প্রকৌশলীরাই কঠিন এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন। তারা ডেমু ট্রেনের খোলস রেখে পুরো অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তিই পান্টে দিয়েছেন। এতে সাশ্রয় হয়েছে দেশের বিপুল অঙ্কের টাকা।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী বলেন, দেশে পাওয়া যায় সে রকম উপাদান দিয়ে অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে আমরা ডেমু ট্রেনগুলো মোডিফাই করেছি। দেশের প্রকৌশলীরা চীনের প্রযুক্তি বাদ দিয়ে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে সচল করেছেন পাঁচটি ডেমু ট্রেন।