প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ ৭ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০৯:৫৫ | আপডেট: ২ years আগে
বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ ৭ জনের মৃত্যু

দেশের পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জের দুইজন, পাবনায় কলেজছাত্রসহ দুইজন, যশোরের চৌগাছা, বরগুনার পাথরঘাটা ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একজন করে মারা গেছেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের বাগডুমুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন- ওই গ্রামের নাছিম খানের ছেলে আব্দুল মালেক (৫০) ও একই গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে মো. সোলেমান শেখ (৪২)।

বহুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন জানান, আব্দুল মালেক ও সোলেমান তাদের নিজ জমি থেকে ধান কাটছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বজ্রপাত হলে তারা গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বরগুনার পাথরঘাটায় বজ্রপাতে খলিলুর রহমান মৃধা (৬০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের তাফালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

খলিলুর রহমানের ছেলে মো. ফিরোজ বলেন, ‘আমি ও বাবা সকালে গাছের কেটে রেখে আসি। দুপুরে আবহাওয়া খারাপ হলে বাবা ডাল আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে বাবার মৃত্যু হয়।’

পাথরঘাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোকসেদুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

যশোরের চৌগাছায় বজ্রপাতে বছির উদ্দিন (৫০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তেঘরী গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের তেঘরী গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে।

নিহতের চাচাত ভাই কামাল হোসেন বলেন, শনিবার দুপুরে বছির মাঠে যান। মাঠে ধান কাটা ও গোছানোর কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. লুৎফুন্নেছা লতা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পাবনায় বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেলে সুজানগর উপজেলার আহম্মেদপুরের চরগোবিন্দপুর ও আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- একদন্ত ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ প্রামাণিকের ছেলে এনামুল হক ( ২২)। তিনি পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। অপরজন মনিরুজ্জামান আহম্মেদপুরের চরগোবিন্দপুর গ্রামের আকবর প্রমাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর পরই ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়েছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বজ্রপাতে হোসনেয়ারা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের নলী জয়নগর গ্রামের আ. সালাম খলিফার স্ত্রী। সাপলেজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরাজ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে হোসনেয়ারা বেগম বাড়ির পেছনের মাঠে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ওই নারী মারা যান।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।