বরিশালের বানারীপাড়ায় যাত্রীবাহী এমভি মর্নিং সান-৯ লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে চালকসহ দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন- মাস্টার মো. কালাম ও তার সহযোগী মো. মিলন। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের নান্দুহার এলাকায়।
লঞ্চযাত্রীরা জানান, পিরোজপুরের হুলারহাট থেকে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে মর্নিং সান-৯ লঞ্চটি ছাড়ে। এতে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল। সন্ধ্যা নদীতে বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লাগে লঞ্চটির।
এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ধাক্কা লাগার কারণে লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। পরে লঞ্চটিকে উজিরপুর উপজেলার চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে ভেড়ানো হয়। অন্যদিকে, ধাক্কা লাগার কিছু সময়ের মধ্যে বাল্কহেডটি তলিয়ে যায়। তলা ফেটে গেলেও সুরক্ষিত রয়েছেন যাত্রীরা।
বাল্কহেডের মালিক হাবুল কাজী জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মাস্টার কালাম ও তার সহযোগী মিলনের মোবাইলে একাধিকবার কল করেছেন। কিন্তু দুটি ফোনই বন্ধ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন- বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সাগরে ৩ নম্বর সংকেত
ঘটনাস্থলে থাকা উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মমিন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায় এসেছেন। তারা খোঁজ নিয়েছেন যাত্রীদের। বিকল্পভাবে তাদের গন্তব্যে যেতে সহায়তা করছেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ৩০০ যাত্রী বিকল্প পথে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। বাকি যাত্রীরা রাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চে অবস্থান করছেন। নিরাপদে তারা যেন গন্তব্যে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি লঞ্চটিকে ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে লঞ্চ।
এদিকে, নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে ট্রলার নিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নদীতে টহল দিচ্ছেন। তাদের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানান উজিরপুর থানার পরিদর্শক।