চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়নে বাজার অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ (নিটার) বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠানে দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শনিবার ঢাকার সাভারের নিটারের বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সসমূহের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও পিঠা উৎসব ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পৃথিবীতে অনেক পরিবর্তন এসে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণামূলক কাজে জড়িত থেকে বস্ত্র খাতে দক্ষ জনবলের পাশাপাশি তোমাদের হতে হবে এক একজন উদ্যোক্তা। বিশ্বায়নের ফলে তোমরা এখন শুধু নিটারের শিক্ষার্থী নয়, পৃথিবীর যেকোনো চ্যালেঞ্চ উত্তরণে দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তোমাদের।’
নিটারের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বিষয়গুলো খুবই সময়োপযোগী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে প্রতীয়মান হয় যে এখানকার শিক্ষার্থীদের কোনোভাবেই বেকার থাকার সুযোগ নেই।’
নিটারের শিক্ষা কারিকুলামকে অনেক বেশী অর্থনীতিক ও উৎপাদন সংশ্লেষমুখী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এখনো সেদিকে পুরোপুরি নজর দিতে পারেনি। বিপুল রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বাস্তবায়নে বস্ত্র শিল্পের যে বিশাল অবদান রয়েছে তাতে অনেক বেশি কৃতিত্বের দাবিদার নিটার। তোমরা যারা নিটারে পড়ছো, তোমরা উৎপাদনের সাথে সরাসরি জড়িত। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্মত উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজন শিক্ষার সাথে গবেষণা ও প্রযুক্তি নির্ভরতা।’
নিটারের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জোনায়েবুর রশীদের সভাপতিত্বে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নিটারের গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিটিএমএ-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, বিটিএমএ’র সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক ও আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, নবীন শিক্ষার্থী সপ্তর্ষি সরকার প্রমুখ।