প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান

ইউএনবি
১৪ নভেম্বর ২০২২ ১৪:২৬:২৮ | আপডেট: ২ years আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত’ অংশীদারিত্ব চায় জাপান
ছবি- ফ্রিপিক

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার মতো আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি ‘কৌশলগত’ পর্যায়ে উন্নীত করতে চায় জাপান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরের সময় এই বিষয়ে সম্ভাব্য আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাপক অংশীদারিত্ব রয়েছে। আমরা এটিকে বৃদ্ধি করতে চাই। আশা করি আমরা আমাদের অংশীদারিত্বকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব বলতে আমরা একমত হতেই পারি।’

সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) ফ্রেডরিখ-এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) বাংলাদেশের সহযোগিতায় এটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

রাষ্ট্রদূত নাওকি বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানির বিষয়ে তার দেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন যে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আরও আলোচনা হবে।

ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক (এফওআইপি)নিয়ে জাপানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি খুব ব্যাপক, তবে কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয় বা কোনও দেশের পক্ষেও না।

তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশকে এফওআইপি এর অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে। ‘আমরা আমাদের ব্যবহারিক সহযোগিতার প্রচার চালিয়ে যাব।’

রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সংযোগ, সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি হচ্ছে বাস্তব সহযোগিতার অংশ; যা তারা প্রচার করে।

বিনিয়োগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন যে চ্যালেঞ্জ আছে, তবে বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতি হবে বলে আশা করছি।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ২৯শে নভেম্বর-১ ডিসেম্বর, ২০২২ জাপান সফরে যাবে। সেসময় বৃহৎ প্রকল্পে ‘বিনিয়োগ ও অর্থায়নের’ মাধ্যমে উন্নয়ন প্রচেষ্টায় জাপানের ‘শক্তিশালী সম্পৃক্ততা’ চাইবে বাংলাদেশ।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ইউএনবিকে বলেন যে জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি ‘উত্তম বিনিয়োগকারী’ এবং তারা অনেকগুলো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

মোমেন বলেন, ‘মূল কথা হল জাপান অর্থায়নে সক্ষম এবং তারা সবসময় কোনো কঠিন শর্ত ছাড়াই অর্থায়ন করে। তাদেরও প্রযুক্তি আছে।’

২০১৪ সালের মে মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিওতে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি শীর্ষ বৈঠক করেন এবং তারা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-জাপান ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ শুরু করেন।

একই বছরের সেপ্টেম্বরে আবে ঢাকায় শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন।

১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জাপান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং ২০২২ সাল বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করে।