প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ আগস্ট ২০২২ ২১:৩৮:০৮ | আপডেট: ৩ years আগে
‘দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ‘শোকের আগস্ট, শপথের আগস্ট’ র্শীষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি মন্ত্রী এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, তলাবিহীন ও ভিক্ষুকের দেশ খ্যাত বাংলাদেশকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। উন্নয়নের এই ধারা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের চিহ্নিত করতে অবশ্যই কমিশন হওয়া দরকার। এদের চিহ্নিত করতে না পারলে আবারও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যেতে পারে।

আইনমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরাজয়ের গ্লানি মেনে নিতে পারেনি। সেজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর সকলকে নিয়ে সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, কোন বাঙালি তাঁকে হত্যা করতে পারে।

তিনি বলেন, খুনিরা জানতো যে, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে শেষ করতে পারলে বাংলাদেশকে হত্যা করা সম্ভব। এছাড়া প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই কমিশন গঠন করা হবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্টের নৃসংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে সেটা জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে। এছাড়া কাদের ব্যাপারে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার সেটা জানানোও এই কমিশনের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেই রাজাকার ও আইয়ুব খানের মন্ত্রী সভার সদস্যদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। খুনিদের কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এটা প্রমাণ করতে রকেট সায়েন্স লাগে না। 

এছাড়া ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা পুনরায় সরকার গঠন না করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শেষ হতো না। কারণ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই মামলার আপিল শুনানি হাইকোর্টে স্থগিত করে রাখা হয়েছিল। সাতজন বিচারপতি এই মামলার আপিল শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন। বাংলাদেশকে ধ্বংস করার সবরকম পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র তারা করেছে।

তিনি আরও বলেন, শৈশব থেকেই বাঙালির হাল ধরার ব্রত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর জীবনটাই ছিল বাংলাদেশের মানুষকে নিজের অধিকার ও স্বাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার কাজে। সেজন্য  পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময়  চরমশত্রু মনে করতো এবং  তাঁকে বারবার কারাগারে পাঠায়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. এস এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. ফারুক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য নেন।