বিদ্যুতখাত নিয়ে গবেষণা করা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এর উপসচিব মোহাম্মদ মাহিদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
তার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
১৮ জুলাই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়; ‘সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী মাহিদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন বলে মনে করে মন্ত্রণালয়। তাই বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করা মাহিদুর রহমানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বিধি অনুযায়ী তিনি খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এর আগে ১৬ জুলাই তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব ন্যস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।’
একই সাথে ওই গবেষণার উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত থাকা আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব এস এম হামিদুল হককেও ওএসডি করা হয়েছে। ১৭ জুলাই তাদের দুই জনকে আইএমইড‘র দায়িত্ব থেকে অবমুক্তকরণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আইএমইডির সেক্টর-১ এর মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা এসএম হামিদুল হক (অতিরিক্ত সচিব) এবং একই সেক্টরের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ মাহিদুর রহমানকে (উপসচিব) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অবমুক্ত করা হলো।
সম্প্রতি আইএমইডি’র বিদ্যুৎখাত নিয়ে প্রকাশিত এক গবেষণা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। ‘বিদ্যুৎ খাতের ৬৭টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক ওই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল। তাতে বিদ্যুৎখাতের ক্যাপাসিটি চার্জকে লুটেরা মডেল হিসেবে তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডলার ড্রেনিং ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধ করতে হবে। ১৪ বছরে ৯০ হাজার কোটি টাকা ডলার গচ্চা গেছে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে।
ক্যাপাসিটি চার্জ না থাকলে বিনিয়োগ আসবে না, বিদ্যুৎখাতে, এমন মিথ্যা থামাতে হবে। ভর্তুকির চক্র থেকে বিদ্যুৎখাতকে বের করার সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দরকার বলে প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।