প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৫:১১ | আপডেট: ২ years আগে
বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | পুরনো ছবি

বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী এবং সঞ্চয়ী হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিদ্যুৎ, তেল ও গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে, সঞ্চয়ী হতে হবে। কারণ করোনা মহামারীর পর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার ফলে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে। যেহেতু খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে, বাংলাদেশের যেন সে অবস্থা না হয়, এক ইঞ্চি জমিও আমরা অনাবাদি রাখব না। অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনব। খাদ্য উৎপাদন করব। দরকার হলে অন্য দেশকে সাহায্য করব।’

দেশবাসীকে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে, অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে হবে। মন্দার প্রভাব যেন আমাদের ওপর না পড়ে, সে জন্য আমাদের সতর্ক হয়ে চলতে হবে।’

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের একটি মানুষও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। প্রতিটি মানুষের শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থানের জন্য আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার আদর্শে পথ চলছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলছি। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যে বিরোধ ছিল তা সমাধান করছি। সীমানা চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল বিনিময় করে আমরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি।’

তিনি বলেন, মিঠামইনের দুর্গম এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিরলস পরিশ্রম করেছেন। সেজন্য তার নামে এই সেনানিবাস করা হয়েছে।

এর আগে বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে মিঠামইন সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে পৌঁছান। এ সময় তিনি রাষ্ট্রীয় অভিবাদন গ্রহণ করেন।