প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে বিইএস’র ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ মে ২০২৩ ১৯:৪৯:৩২ | আপডেট: ২ years আগে
বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে বিইএস’র ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

দেশের বিদ্যুৎ সংকট নিরসণে বাংলাদেশের করণীয় বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটির (বিইএস) আয়োজনে ‘২০২৪ সাল নাগাদ বহুতল ভবন, মার্কেট, বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি থেকে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের টেকসই সমাধান’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়ে। বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যতে করণীয় বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন।

বিইএস’র সভাপতি এবং প্রাক্তন মুখ্য সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান, এম.পি। বিশেষ অতিথি ছিলেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, এনডিসি।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, রুফটপ সোলারের চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর অগ্রগতির লক্ষ্যে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সোলার হোম সিস্টেমে (এসএইচএস) মানুষের আগ্রহ আছে। সবসময় সবকিছু ইমপোর্ট করতে হবে কেন! লোকাল টেকনোলজি উদ্ভাবক কোম্পানিকে উৎসাহ দিতে হবে।

এছাড়াও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ছাদে সৌরশক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাদের বার্ষিক ট্যাক্স-এ বিশেষ সুযোগ দিতে পারি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলোকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে যাতে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড সকলের দ্বারপ্রান্তে পৌছানো যায় বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের (বিজিইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সৌর ও নবায়নযোগ্য শক্তি সমিতি’র (বিএসআরইএ) প্রধান উপদেষ্টা এবং বিইএস’র কাউন্সিল সদস্য দীপল চন্দ্র বড়ুয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কোন কোন সংস্থা ছাদে গ্রিড-সংযুক্ত সৌর শক্তি যোগ করতে পারে তা তুলে ধরা হয়। বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে একটি বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। কয়েকটি দেশে, এই নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব অর্জন করেছে। বিশেষ করে বাণিজ্যিক ভবন, আবসিক ভবন, শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস কারখানা, হাসপাতাল, মেট্রোরেল, রেলওয়ে স্টেশন, নদী বন্দর, বিমানবন্দর, বেপজা, মহাসড়ক এবং বাঁধের পাশে অর্থনৈতিক অঞ্চল ইত্যাদিতে বিশাল সম্ভাবনা আছে।

সামাজিকভাবে, যেমন: প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় ভবনের ছাদ ব্যবহার করে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। উক্ত সকল স্থানের সঠিক ব্যবহার করা হলে আগমী ২ বছরে প্রায় ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) মেগাওয়াট উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

মুনীরা সুলতানা বলেন, রুফটপ সোলার সিস্টেমের অগ্রগতির উদাহরণে কোরিয়ান ইপিজেড ও কয়েকটি শিল্প করখানার দৃষ্টান্ত চলে আসে। দেশী-বিদেশী অনেক প্রতিষ্ঠান সোলার সিস্টেমে বিনিয়োগ করতে চায়। এই খাতে ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে এনবিআরের সাথে যোগাযোগ করা হবে। রুফটপ সোলার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে শিল্প কারখানা পরিদর্শন ও ক্যাম্পেইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহকারী বৃন্দ বলেন, সরকারি ও বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, কোথায় কোথায় বিদ্যুতের অপচয় হয় এবং কোথায় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়- এসব বিষয় খতিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না, অথচ সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, সেগুলো বন্ধ করার চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। নেট মিটারিং রুফটপ সোলারে বিএসটিআই’র অনুমোদন, এনবিআর, কাস্টমস ট্যাক্স মুক্ত করা ইত্যাদি বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাস্তবায়ন, মনিটরিং ব্যবস্থা জোরালো করতে হবে। আমার বিদ্যুৎ আমি উৎপাদন করব এমন চিন্তা সকলকে করতে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের (বিজিইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সৌর ও নবায়নযোগ্য শক্তি সমিতি’র (বিএসআরইএ) প্রধান উপদেষ্টা এবং বিইএস’র কাউন্সিল সদস্য দীপল চন্দ্র বড়ুয়া। আলোচক ছিলেন সোলার ইপিসি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এজাজ আল কুদরত এ মজিদ; ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সিইও আলমগীর মোর্শেদ, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার সালেক সুফি প্রমূখ।