প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘বিনিয়োগ-রপ্তানি-কর্মসংস্থান বাড়াতে বিদেশিদের অবহিত করেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২৮:৩৪ | আপডেট: ২ years আগে
‘বিনিয়োগ-রপ্তানি-কর্মসংস্থান বাড়াতে বিদেশিদের অবহিত করেছি’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন | ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক নীতির তিনটা প্রধান নীতি সম্পর্কে আমরা বিদেশিদের অবহিত করেছি। তা হলো- বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং মানুষের আরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।’

শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘১ জানুয়ারি আমরা আমাদের ৮২টি বিদেশি মিশন প্রধানের সঙ্গে বসেছি। তারা কি চায় আমরা জানতে চেয়েছি এবং তারা কিভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে তাও জানতে চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের ধারণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা সম্পদের দক্ষ ব্যবহার করে সর্বোচ্চ উৎপাদন এবং সন্তোষজনক সেবা নিশ্চিত করতে চাই। এ ব্যাপারে তারা যদি আমাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারেন, তাহলে তা করতে আমরা অনুরোধ করেছি। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক নীতির তিনটা প্রধান নীতি সম্পর্কে আমরা তাদের অবহিত করেছি। তা হলো- বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো, রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং মানুষের আরও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের রপ্তানি পণ্যের অন্যতম ক্রেতা এবং অন্যতম বড় বিনিয়োগকারী দেশ। র‍্যাব বা নির্দিষ্ট একটা ইস্যু নিয়ে একটা দেশের সঙ্গে সম্পর্কের মূল্যায়ন হয় না। আমাদের সঙ্গে তাদের নানা ধরনের বিষয় জড়িত।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নীতিগত মিল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আর আমাদের দেশে গণতন্ত্র বিরাজমান। তারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় আর আমাদের দেশের ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে শুধু মানবাধিকার অর্জনের জন্য। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মহাসচিব বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। আমরা তার সফরকে স্বাগত জানাই। উনি এলে নানাবিধ বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। আশা করি তার সফরের মধ্যে দিয়ে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরও উন্নতি হবে।’

মিয়ানমার ইস্যুতে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে চাই। তাই আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সব সমস্যার সমাধান আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চাই। ইতোমধ্যে পানি চুক্তি, সীমান্ত চুক্তি অথবা সমুদ্রসীমা নির্ধারণ- সব সমস্যার সমাধান আমরা শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। একটা বুলেট‌ও ছোড়া হয়নি।’

এর আগে আন্তর্জাতিক সংগঠন পিস রান কর্তৃক আয়োজিত ‘পিস রান বাংলাদেশ ৬-১০ জানুয়ারি-২০২৩’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. মোমেন। এ সময় রিলে দৌড়ের ক্যাপ্টেন অর্পন ডি এঞ্জেলো, শিল্পী রেজ‌ওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।