বাংলাদেশ এখন বিপজ্জনক আয় বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছে। বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত; আয় বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং শোভন কর্মসংস্থান তৈরি করা বলা মনে করছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত।
রোববার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ভবনে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনা ২০২২-২৩: একটি জনগণতান্ত্রিক বাজেট প্রস্তাব শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন এমন কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।
তিনি বলেন, আয় ও সম্পদ বৈষম্যের পাশাপাশি দেশে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বৈষম্যও বাড়ছে। অন্যদিকে করোনার কারণে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এই বৈষম্য কমিয়ে আনাই আসছে বাজেটসহ পরবর্তী আরো ৫টি বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এমন বাস্তবতাকে সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় মিলে মোট ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে অর্থনীতি সমিতি। এই বাজেট সরকারের বাজেটের তুলনায় ৩.৪ গুণ বড় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
বৈদেশিক ঋণ প্রসঙ্গে আবুল বারকাত বলেন, ২০২৭/২৮ সাল নাগাদ বাংলাদেশ যখন এক সাথে ৪/৫টি বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু করবে, তখন ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের অবস্থান সবুজ থেকে লাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ ঋণ পরিশোধে অস্বস্তি তৈরি করবে।
২০৩২ সালে গিয়ে বিপদ আরো বেশি হতে পারে। তখন রাজনীতিতে এর বিরুপ প্রভাব পড়বে কিনা, তা নিয়ে এখন থেকেই শক্তভাবে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন এই অর্থনীতিবিদ।