দেশজুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হচ্ছে বৃহস্পতিবার।
বুদ্ধ পূর্ণিমা গৌতম বুদ্ধের জন্ম, জ্ঞান লাভ ও মৃত্যুকে চিহ্নিত করে। খ্রিস্টপূর্ব ৫৬৩ সালের এই দিনে হিমালয়ের পাদদেশে কপিলাবস্তুতে সিদ্ধার্থ গৌতম হিসেবে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ৩৫ বছর বয়সে সর্বোচ্চ জ্ঞান লাভ করেন এবং অবশেষে খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ সালে ৮০ বছর বয়সে ‘নির্বাণে’ চলে যান।
দিনটি বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন।
দিবসটি উপলক্ষে বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বৌদ্ধ সভ্যতা এবং এর সংস্কৃতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। পাহাড়পুর ও ময়নামতি শালবন বিহার এর উজ্জ্বল উদাহরণ।’
তিনি বলেন, গৌতম বুদ্ধ সর্বদা মানবজাতির কল্যাণ চেয়েছিলেন এবং তিনি সমগ্র বিশ্বকে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করি বৌদ্ধ সম্প্রদায় এই ঐতিহ্য চর্চা ও বুদ্ধের মহান আদর্শকে সমুন্নত রেখে দেশের উন্নয়নে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে বাংলাদেশে সম্প্রীতির চর্চা ও বন্ধন আরও জোরদার করতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘সহিংসতা দ্বারা চালিত নিষ্ঠুর শক্তিকে দমন করতে, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে এবং একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলতে আজকের বিশ্বে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি গৌতম বুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত ও লালন-পালনের মাধ্যমে সবাই বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’