গরুর হাটে বেপারীরা যাতে নিরাপদে অর্থ নিয়ে যেতে পারে সেজন্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কমলাপুরে গরুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, আমরা হাটে বেপারীদের সঙ্গে কথা বলেছি, যারা এখানে গরু কিনতে এসেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, যারা হাট ডেকেছেন তাদের সঙ্গে বলেছি।
বেপারীরা বহুদূর থেকে গরু নিয়ে হাটে এসেছেন, তাদের সমস্যা হচ্ছে কি-না বা ক্রেতাদের সমস্যা আছে কিনা আমরা জানার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় হাসিল নিয়ে অভিযোগ থাকে, এবার হাসিল নিয়ে কারো অভিযোগ আছে কি-না জানতে চেয়েছি।
হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। এখন করোনার হালকা ঊর্ধ্বমুখী প্রভাব দেখা যাচ্ছে। হাটে আসা মানুষদের সচেতনতা নিয়ে কথা বলেছি। হাট কর্তৃপক্ষকে বলেছি যারা মাস্ক ছাড়া আসবে তাদের যেন মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়।
হাটের বিষয়ে কোন অভিযোগ আছে কি-না সবার সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বেপারীদের খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। বিভিন্ন বছর দেখা গেছে তারা অসুস্থ্য হয়ে যায়। এছাড়া, তারা যাতে গরু বিক্রির টাকা নিরাপদে নিয়ে যেতে পারে, এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য বলেছি।
আইজিপি বলেন, মার্কেটে প্রচুর গরু আছে। তবে ক্রেতারা দাম বেশি বলে অভিযোগ করেছেন। দেশে ১ কোটির বেশি কোরবানির পশু আছে যেগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত। যেগুলোর সবই আমাদের দেশীয় উৎপাদিত, এটা ভালো লক্ষণ। এখন আমরা কোরবানির পশুর জন্য অন্য কোন দেশের উপর নির্ভরশীল নই। এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে একসময় হয়তো আমরা মাংস রপ্তানি করতে পারবো।
নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেক বছরই নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা প্রস্তুত থাকি, এ বছরও সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে।