ভারতীয় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসায়িক ফোরামের আলোচনায় এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো সময় ও খরচ কমিয়ে ‘বাই-ব্যাক’ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শিল্প স্থাপন করতে পারে। ফলে ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশে মোট বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ১৩৭০ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে ভারত থেকে এসেছে মাত্র ১৫ দশমিক ৭৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে শীর্ষ বৈঠক: আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় ঐকমত্য
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদার নীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা, আকর্ষণীয় প্রণোদনা নীতি এবং ধারাবাহিক সংস্কারসহ এই অঞ্চলে বাংলাদেশের রয়েছে সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি। বিনিয়োগ এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে শিল্পায়নের প্রসার এবং বহুমুখীকরণ, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়াতে সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি স্বাধীন ও উদার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। বিনিয়োগবান্ধব বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আইনি সুরক্ষা, উদার রাজস্ব ব্যবস্থা, মেশিনপত্র আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি। এগুলোর মধ্যে ১২টি অঞ্চল ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। দুটি অঞ্চলকে ভারতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।’
গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মোট দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যেখানে বাণিজ্যিক ভারসাম্য অনেকটাই ভারতের পক্ষে ছিল। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত সোমবার নয়াদিল্লি আসেন প্রধানমন্ত্রী।