প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

বাংলাদে‌শের জন্য বোঝা হ‌য়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে রোহিঙ্গারা

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জুলাই ২০২২ ১৫:১২:৩৫ | আপডেট: ৩ years আগে
বাংলাদে‌শের জন্য বোঝা হ‌য়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হ‌য়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন চায় বাংলাদেশ।

শনিবার হো‌টেল ইন্টারক‌ন্টি‌নেন্টা‌লে ‘বিশ্ব মানবপাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে আইওএম (আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানবপাচার প্রতি‌রোধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি দেখা‌চ্ছে সরকার।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মো‌মেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, আইওএম’র বাংলাদেশি অভিবাসনের প্রতিনিধি প্রধান আব্দুস সাত্তার ইসোভসহ প্রমুখ।

মানবপাচার প্রতিরোধে চারটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মো‌মেন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানবপাচার দিন দিন বাড়ছে। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে মানবপাচার রোধ করতে পারি। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ পদক্ষেপ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে মানবপাচারকারীদের সনাক্ত ও অভিযান পরিচালনা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদে‌শের জন্য বোঝা হ‌য়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ চায় তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সপ্তম দেশ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। প্রযুক্তির ফলে সহজে অপরাধীরা পাচারের জন্য মানুষকে খুঁজে পায়, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও উচিত তাদের বিরুদ্ধে কাজ করা। অবশ্য মানবপাচারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকশন বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন পাচারকারীরা তাদের কাজ করছে, আমরাও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও পাচার অন্যতম সমস্যা। পাচার রোধে আমরা বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রায় ৩০ হাজার নারীকে অবৈধভাবে পাচার রোধে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড বলেন, ‘মানবপাচার রোধে সুইজারল্যান্ড সরকার ও বাংলাদেশ সরকার গত ১২ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে পাচার বেড়েছে। তবে আমরাও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে পাচার রোধ করতে পারি।’

আইওএম’র বাংলাদেশি অভিবাসনের প্রতিনিধি প্রধান আব্দুস সাত্তার ইসোভ বলেন, ‘করোনার সময় থেকে মানবপাচাকারীরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে পাচারে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদেরও পাচার প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। তবে এটি একার পক্ষে সম্ভব নয়, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানবপাচার ঠেকানো সম্ভব।’