প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘মানব পাচার রোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা-প্রতিশ্রুতি নিতে হবে’

বিশ্বে ২৭.৬ মিলিয়ন মানুষ পাচারের শিকার
ইউএনবি
২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০২:২১ | আপডেট: ২ years আগে
‘মানব পাচার রোধে লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা-প্রতিশ্রুতি নিতে হবে’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মানব পাচার একটি বৈশ্বিক অপরাধ; যা কয়েক লাখ মানুষকে তাদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে। এই অপরাধকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা এবং মানব পাচার বন্ধ করার জন্য আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিতে হবে। এজন্য লক্ষ্যভিত্তিক সচেতনতা এবং বিস্তৃত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

শুক্রবার ‘যৌন পাচার এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ সকল ধরনের মানব পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টায়’ মানুষ, সংস্থা, সম্প্রদায় এবং ফেডারেল সংস্থাগুলোর যোগদানের সময় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ২৭ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ পাচারের শিকার হয়। এছাড়াও এই মাসটি জাতীয় মানব পাচার প্রতিরোধ মাস।

ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসন্স প্রজেক্ট গত সপ্তাহে একটি ইভেন্টের আয়োজন করেছে। যাতে সরকার ও সুশীল সমাজের অংশীজনদেরকে একত্র করে আঞ্চলিক কর্মশালার প্রতিক্রিয়া জাতীয় কর্ম পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ মানব পাচার রোধে অগ্রগতি অর্জন করেছে, সাতটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে, পাচারবিরোধী টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।’

২০২৫ সালের মধ্যে ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশনের সম্প্রসারণ চলবে এবং বেঁচে যাওয়া মানুষদের রক্ষা করার এবং সমাজে তাদের পুনসংহত করতে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতার সঙ্গে অপরাধীদের বিচার ব্যবস্থা আরও জোরদার করবে বলে জানান তিনি।

মার্কিন দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাভাব জানিয়েছেন, ‘কোনো পরিকল্পনাই সফল হতে পারে না, যদি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা না হয়। আর সে কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করা ও মানব পাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অবসানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে অব্যাহতভাবে সহায়তা করবে।’

মার্কিন সরকার ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন তৈরি এবং মানব পাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে।

ইউএসএআইডির ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসন্স প্রজেক্ট ৪০০ জন বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইব্যুনাল স্টাফ, প্যানেল আইনজীবী এবং কমিউনিটি পাচার প্রতিরোধ কমিটির আরও তিন হাজার সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।