২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে তিনি এ কথা বলেন।
এক বছরে মূল্যস্ফীতির তুলনায় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক কম। যদিও সরকারের হিসাবে গত এক বছরে দেশের মানুষের আয় বেড়েছে। মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু সবই কাগজে-কলমে হিসাব। দেশে মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার এক বছর ধরেই কম।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে উৎপাদশীল খাতে বিনিয়োগ ও উৎপাদশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং সুসংহত অভ্যন্তরীণ চাহিদার কল্যাণে পূর্বের ধারাবাহিকতায় আগামী অর্থবছরে আমরা উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসব ও সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি।
প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা ক্রমান্বয়ে কৃচ্ছ্র সাধন নীতি থেকে বের হয়ে এসে মেগাপ্রকল্পসহ প্রবৃদ্ধি সঞ্চারক চলমান ও নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবো। এ উদ্দেশ্যে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করে জিডিপি’র ৬ দশমিক ৩০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আজ ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি।
এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। আর আওয়ামী লীগ সরকারের ২৪তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের টানা পঞ্চম বাজেট।