প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

মেট্রোরেলে চড়তে হলে যা করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ আগস্ট ২০২২ ১৮:০১:২৬ | আপডেট: ৩ years আগে
মেট্রোরেলে চড়তে হলে যা করতে হবে

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সত্ত্বেও যানজট ও গণপরিবহন সমস্যা ঢাকা মহানগরবাসীর জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এমতাবস্থায় বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের চলাচল খুব শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে। আর দেশের প্রথম মেট্রোরেলের রুট নির্ধারণ করা হয়েছে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত।

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে কাজ করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)।

ইতিমধ্যে কোম্পানিটি মেট্রোরেলের চলাচল পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে একটা ভিডিও প্রকাশ করেছে ডিএমটিসিএল।

মেট্রোরেলে যত স্টেশন

এমআরটি লাইন ৬ এর রুটে মেট্রোরেলে ১৬ টি স্টেশন রয়েছে। এগুলো হলো- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাও, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিল।

উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এ দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগবে প্রায় ৩৮ মিনিট।

প্রথম ধাপে কত সেট মেট্রোরেল চলবে

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ২৪ সেট মেট্রোরেল নিয়ে শুরু হবে এমআরটি লাইন ৬ এর যাত্রা। প্রতি সেট মেট্রোরেলে প্রাথমিকভাবে ৬ টি কোচ থাকবে। তবে প্রত্যেকটি সেটে অতিরিক্ত দুইটি কোচ সংযুক্তের ব্যবস্থা থাকবে।

যে পদ্ধতিতে চলবে মেট্রোরেল

দিনের ব্যস্ততম সময়ে প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পর পর প্রতিটি স্টেশনের উভয়দিকে মেট্রোরেল থামবে। এমআরটি লাইন ৬ চালু হলে প্রতিদিন পাঁচ লাখ মানুষ মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবে।

স্টেশনে যেসব সুবিধা থাকছে

প্রত্যেকটি মেট্রোরেল স্টেশনে লিফট, চলন্ত সিড়ি ও সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও প্রবেশ পথে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা থাকবে। র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করে ঝামেলাহীনভাবে চলাচল করতে পারবে যাত্রীরাও। প্রতিটি স্টেশনে থাকবে নিরাপত্তাবেষ্টনী।

মেট্রোরেলের সুষ্ঠু পরিচালনা রক্ষণাবেক্ষন ও উন্নত সেবা নিশ্চিতে একটি অত্যাধুনিক টিম কাজ করবে। এছাড়াও মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো হবে এলিভেটেড, টিকেট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধা থাকবে দো'তলায়।

পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেলের কোচগুলোতে থাকবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, থাকবে সুবিন্যস্ত আসন ব্যবস্থা, যাত্রাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত ডিসপ্লে প্যানেলও থাকবে।

হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য প্রতিটি ট্রেনের কোচগুলোতে থাকবে নির্ধারিত স্থান। এছাড়াও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে মেট্রোরেলের থাকবে নিজস্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য শব্দ নিরোধক দেয়াল নির্মাণ করা হবে।

সড়কের মিডিয়াম বরাবর ভূমি থেকে প্রায় ১৩ মিটার উপরে নির্মিত এলিভেটেড মেট্রোরেলের কম্পন নিয়ন্ত্রণের জন্য থাকবে ফ্লোটিং স্ল্যাব ট্যাঙ্ক ও কন্টিনিউজ ওয়েল্ডেড ট্রেন।

মেট্রোরেলে চলাচলে যে ভুল করা যাবে না

মেট্রোরেলে চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কোন অবস্থাতেই সয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হওয়া দরজায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা যাবে না।

শহরজুড়ে মেট্রোরেলের সংযুক্তি

এমআরটি লাইন ৬ এর সাথে এমআরটি লাইন ৫ এর মিরপুর ১০ এ এবং এমআরটি লাইন ৫ এর সাথে এমআরটি লাইন ১ এ নতুন বাজার স্টেশনে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে।

আন্তঃলাইন সংযোগের স্টেশন দুটি ছাড়াও উত্তরা সেন্টার স্টেশন, গাবতলি স্টেশন, পূর্বাচল টার্মিনাল স্টেশন এবং হেমায়েতপুর স্টেশন ক্রমান্বয়ে মাল্টিমডেল হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।