উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে আজ থেকে। বৃহস্পতিবার থেকে চড়তে শুরু করবেন যাত্রীরা। মেট্রোরেলে আছে স্বয়ংক্রিয় ‘ফেয়ার কালেকশন সিস্টেম’ সফটওয়্যার। যাত্রীদের জন্য আধুনিক এবং অনলাইনভিত্তিক ভাড়া পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে।
আছে দুই ধরনের টিকিটের ব্যবস্থা। একটা হচ্ছে স্থায়ী কার্ড। অর্থাৎ এ কার্ড রিচার্জ করে পুরো বছর বা মাসে যাতায়াত করা যাবে। প্রতিটি স্টেশনে থাকা মেশিনেও কার্র্ড রিচার্জ করা যাবে। প্ল্যাটফরমে প্রবেশের সময় যাত্রীদের কার্ড পাঞ্চ করতে হবে, নয়তো দরজা খুলবে না। এরপর নেমে যাওয়ার সময় আবার কার্ড পাঞ্চ করতে হবে। নইলে যাত্রী বের হতে পারবেন না। আরেকটি কার্ড সাময়িক, যা প্রতিবার যাত্রায় দেওয়া হবে। এটাকে সিঙ্গল জার্নি টিকিটও বলা হয়। স্টেশন থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া দিয়ে এ কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। এটিও স্মার্টকার্ডের মতো। ভাড়ার অতিরিক্ত যাতায়াত করলে ওই কার্ড দিয়ে দরজা খুলতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কাছে বাড়তি ভাড়া পরিশোধ করেই বের হতে হবে। তবে তিন ফিট উচ্চতার শিশুরা বিনা ভাড়ায় চড়তে পারবে অভিভাবক থাকা সাপেক্ষে।
আরও পড়ুন: যেদিন চড়া যাবে না মেট্রোরেলে
প্রতি কিলোমিটারে ৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। দিয়াবাড়ী অর্থাৎ উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা। স্মার্টকার্ড ব্যবহার করলে ১০% রেয়াত সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। যেসব যাত্রী সাপ্তাহিক, মাসিক, পারিবারিক কার্ড ব্যবহার করবেন, তাদের বিশেষ সুবিধা থাকবে। এ ছাড়া যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনামূল্যে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিরা প্রতিবার ভ্রমণে বিশেষ রেয়াত পাবেন।
উত্তরা নর্থ থেকে উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা সাউথ পর্যন্ত গেলে ভাড়া দিতে হবে ২০ টাকা। পল্লবী ও মিরপুর-১১তে নামলে ৩০ টাকা, মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া পর্যন্ত ৪০ টাকা, শেওড়াপাড়া গেলে ৫০ টাকা, আগারগাঁও ও বিজয় সরণি পর্যন্ত গেলে ৬০ টাকা। শুরুতে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। ট্রেন ঘোরানোর জায়গা নেই বলে আপাতত ফার্মগেট পর্যন্ত চালু করা যাচ্ছে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে দিয়াবাড়ী এবং আগারগাঁও থেকে বিআরটিসির বাস সুবিধা থাকবে। মেট্রোরেল যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু হলে ভোর থেকে দুদিক থেকে যাত্রা করবে।