প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘রিজার্ভ বাড়াতে প্রবাসীর কাছে যেয়ে তাদের কথা শুনতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ নভেম্বর ২০২২ ২০:০৬:৪০ | আপডেট: ২ years আগে
‘রিজার্ভ বাড়াতে প্রবাসীর কাছে যেয়ে তাদের কথা শুনতে হবে’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের রেমিট্যান্স কমে এসেছে। প্রতি মাসেই এক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বাজারে চলে যাচ্ছে। এতে রিজার্ভের পরিমাণ আরও কমে যাচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হলে রেমিট্যান্সকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে। এ জন্য দেশের বাইরে প্রবাসীদের দোরগোড়ায় যেতে হবে। তাদের কথা শুনতে হবে, তাদের বোঝাতে হবে। একই সঙ্গে বৈধভাবে দেশীয় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে সহযোগিতা ও উৎসাহ দিতে হবে। এতে রেমিট্যান্স বাড়বে, রিজার্ভের পরিমাণও বেড়ে যাবে। কেটে যাবে সব সমস্যা আর শঙ্কা।’

বুধবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘বৈধ পথে সহজে নিরাপদে ডিজিটাল মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে দেশের বিশিষ্ট গবেষক ও অর্থনীতিবিদরা বক্তব্য রাখেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা প্রবাসীদের কাছ থেকে কৌশলে রেমিট্যান্স আনার চেষ্টা করছি। প্রবাসীরা না খেয়ে আবেগে টাকা পাঠান মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানদের জন্য। আগে দেখতাম প্রবাসীদের টাকা ব্যাগে করে দিয়ে যেতেন অপরিচিত কিছু লোক। তারা প্রবাসীর পরিবারের কাছে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষে টাকার প্যাকেট দিয়ে যেতেন। প্রথমে আমরা বুঝিনি, এখন বুঝছি তারা হুন্ডিওয়ালা। মধ্যপ্রাচ্যে যারা লোক পাঠান তাদের অক্ষরজ্ঞান নেই, তাদের একটু প্রশিক্ষণ দিলে দক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারেন।’

পলিসি রিচার্স ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা প্রতি মাসেই এক, দুই বিলিয়ন করে রিজার্ভ হারাচ্ছি। এর মানে আমরা বাজারে ডলার ছাড়ছি। এতে রিজার্ভ কমছে। এখানে আমাদের সমন্বয়ের জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে এবং আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে আসতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কেন আমেরিকা থেকে বৈধ পথে বেশি রেমিট্যান্স আসছে, কেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে কম আসছে। লোকালি প্রবাসীদের কাছে যেতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে।’

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ও সানেম চেয়ারম্যান বজলুল খন্দকার। প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘এমএফএসে ৫৫ দেশের মধ্যে আমরা ৪৪তম। ভারত-কেনিয়াসহ যারা এগিয়ে আছে তাদের স্কোর ৭৫ প্লাস, আমাদের ৪০ প্লাস। রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে ডিজিটাল কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ডিজিটাল শিক্ষা বৃদ্ধি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যারা দেশের বাইরে যাচ্ছেন তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।’

বিকাশের প্রতিনিধি শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিকাশে সরাসরি রেমিট্যান্স আসে না, ব্যাংক সেটেলমেন্টের মাধ্যমে আসে। এটা হতে পারে কোনো ব্যাংক বা ব্যাংকের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট থেকে আসে। সেটেলমেন্ট ছাড়া বিকাশের মাধ্যমে দেশের বাইরে যেতে পারে না আবার আসতেও পারে না। নভেম্বরে গড়ে দেড় মিলিয়ন পরিমাণ ডলার আসছে। বিকাশে রেমিট্যান্স এলে তার প্রণোদনা ও মূল টাকার বিষয়ে আমরা এসএমএস করে পাঠিয়ে দেই সঙ্গে সঙ্গেই।’