রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন; রেলের সম্পদ জনগণের। যাত্রীদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্য থেকে যাত্রীদের সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি।
মঙ্গলবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেল সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘১৫ নভেম্বর রেলওয়ের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। ১৮৬২ সালের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে ট্রেন চালু করেছিল। একটি দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা জরুরী। একসময় রেল অবহেলিত ছিল। রেলের কর্মকর্তা/ কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্ত ছিল, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেওয়ার পরে রেলওয়ের উন্নতি সাধিত হচ্ছে ।’
বর্তমানে রেলের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। মন্ত্রী কয়েকটি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা টঙ্গীর মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ রেললাইন, টঙ্গী জয়দেবপুর এর মধ্যে দ্বিতীয় রেল লাইন নির্মিত হচ্ছে। যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ডাবল লাইন নির্মিত হচ্ছে । এটি নির্মিত হলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পূর্বাঞ্চলের রেল যোগাযোগ উন্নত হবে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় আগামী জুনে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়ে যাবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগামী বছর জুনে ঢাকা থেকে কক্সবাজার সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন আগামী জুনে চালু হয়ে যাবে। সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া পর্যন্ত নতুন রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সারাদেশের মিটার গেজ রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ব্রডগেজে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে। এছাড়া আমরা ভবিষ্যতে ইলেকট্রিফিকেশন এর মাধ্যমে ট্রেন চালনা করব।