যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো রোববার দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবটি হলো যীশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম উদযাপন, একটি নতুন সূচনা, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং আনন্দ বার্তা আদান-প্রদান এ উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
সারা দেশের গীর্জাগুলোতে প্রার্থনা সেশনের আগে ও পরে ক্রিসমাস ক্যারোল ও স্তোত্র গাওয়া হবে।
শনিবার বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বার্তায় বলেছেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য বড়দিন বয়ে আনুক অনন্ত আনন্দ ও কল্যাণ। সকলের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এক সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।
সচিব, সামরিক সচিব এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের সঙ্গে এক চা পার্টিতে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।