মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ব্রুনাইয়ের সহযোগিত চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে ব্রুনাই দারুসসালামের দ্বিতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি সেতিয়া হাজী এরিওয়ান বিন পেহিন দাতু পেকারমা জয়া হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের সাথে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সহযোগিতার অনুরোধ জানান আব্দুল মোমেন।
বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং আগামী দিনে বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরো জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে ২৯তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে কম্বোডিয়ায় তিন দিনের সরকারি সফরে রয়েছেন ড. মোমেন।
সৌজন্য বৈঠকে ড. মোমেন মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানান এবং মিয়ানমারের ১১ লক্ষাধিক নাগরিকের (রোহিঙ্গা) দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারকে রাজি করাতে আসিয়ান দেশগুলির আরও সমন্বিত ও সক্রিয় সমর্থনের আহ্বান জানান।
আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার (এসডিপি) হওয়ার জন্য বাংলাদেশের পক্ষে ব্রুনাইয়ের সমর্থনও প্রত্যাশা করেন ড. মোমেন।
এ বৈঠকে তারা দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, জলজ চাষ ও মৎস্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও ওষুধ, সংযোগ (কানেক্টিভিটি), আইসিটি, পর্যটন, হালাল বাণিজ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে উচ্চ-পর্যায়ের সফরের প্রয়োজনীয়তার উপর তারা জোর দেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।