দেশে এসেছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের ১৫ লাখের বেশি ডোজ টিকা। আগস্টে প্রয়োগ করা হবে এসব টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান ডা. মো. শামসুল হক জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে।
তিনি বলেন, টিকাগুলো শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজার পেডিয়াট্রিক ডোজ, অ্যাডাল্ট ডোজ নয়। খুব শীঘ্রই পরিকল্পনা করে এসব টিকা স্কুলের শিশুদের দেয়া হবে।
ডা. মো. শামসুল হক আরও বলেন, স্কুলে দেয়া পর কমিউনিটিতে যেসব শিশু আছে, যারা স্কুলে আসে না; তাদের জন্য ক্যাম্পেইন করে টিকা দেয়া হবে।
বাংলাদেশে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা কোভিড টিকার এটাই প্রথম চালান। কোভ্যাক্স থেকে এই টিকা এসেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ষাটোর্ধ্বদের টিকা দেয়া শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে টিকা পাওয়ার নির্ধারিত বয়সসীমা কমিয়ে আনা হয় ১৮ বছরে।
১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকার আওতায় আনা হয় গত বছর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১২ কোটি লাখ ৪ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ। এ পর্যন্ত তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৯৪ লাখের বেশি মানুষকে।