প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে আরও দু'দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:২৪:৪০ | আপডেট: ৩ মাস আগে
শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে আরও দু'দিন

দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকায় দিবাভাগে সূর্যালোক আর তাপমাত্রা খানিকটা বাড়লেও উত্তর এবং পশ্চিমাঞ্চলে পারদ নেমেছে অস্বাভাবিক মাত্রায়। এমন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে আরও দু-একদিন। এমনটি জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তার লাভ করতে পারে। এ অবস্থায় দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে। তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা থাকতে পারে। বৃষ্টিপাতের শঙ্কা নেই, তবে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়।

উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাংশে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আবহাওয়া বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ পাঁচ বিভাগে বিস্তৃতি ঘটতে পারে। আজ সারা দেশের তাপমাত্রা গড়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। সকালে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আবারও বাংলাদেশের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ৩১ জানুয়ারি বুধবার থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেছেন, গতকাল রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এই পরিস্থিতি আরও অন্তত দুই দিন থাকবে এবং শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আজ শনিবার সকালে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ অতিক্রম করার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে