রাজধানীর বাসিন্দা অমিত হাসান। জরুরী প্রয়োজনে মা’কে নিয়ে বরগুনায় যাবেন বলে এসেছেন রাজধানীর সদরঘাটে। ঘাটে সারি সারি লঞ্চ সাজানো থাকলেও ছেড়ে যাচ্ছে না কোনোটিই। সড়কপথে বাস চলাচল সীমিত থাকায় সুযোগ নেই বিকল্প যানবাহন চিন্তারও।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই রাজধানীর সদরঘাট এলাকা একপ্রকার স্থবির। বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। শনিবার রাজধানীর সদরঘাট এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে সীমিত ছিলো লঞ্চ চলাচল। কয়েকটি লঞ্চ আসা যাওয়া করলেও যাত্রী সংখ্যা ছিলো একেবারেই কম। প্রতিদিন সকালে দশটির অধিক লঞ্চ সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেলেও যাত্রী সংকটে আজ ছেড়েছে মাত্র তিনটি। অন্যদিকে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন ৪৫টির অধিক লঞ্চ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসলেও আজ ভোরে সদরঘাটে এসে পৌঁছেছে মাত্র ৭ টি। লঞ্চগুলোতে যাত্রী সংখ্যাও ছিলো যৎসামান্য।
সদরঘাট ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকাল ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় মাত্র তিনটি লঞ্চ। শরীয়তপুর-১, দোয়েল পাখি এবং সেভেন সি। ভোরে ভোলা জেলার আলওয়ালিদ থেকে ছেড়ে আসে ইলিশ, বেতুয়া থেকে টিপু-১৩, হাতিয়া থেকে তাসরিফ-২, চাঁদপুর থেকে ময়ূর-২, ভাসানচর থেকে সম্রাট-২,মূলাদী থেকে মহারাজ-৭, বরিশাল থেকে পারাবত-১১ সদরঘাটে আসে। তবে চলাচলকারী লঞ্চে যাত্রী ছিলো অর্ধেকের কম।
এ বিষয়ে সদরঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হুমায়ূন কবির বলেন, যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের পরিমাণ কম। অন্য দিনের তুলনায় যাত্রী নেই বললেই চলে।
লঞ্চ পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, আমাদের মালিক সমিতি থেকে কোনো প্রোগ্রাম রাখা হয়নি। আজ তুলনামূলক যাত্রী কম তাই লঞ্চ এর সংখ্যাও কম।একটি লঞ্চ যাওয়া আসায় অনেক টাকা খরচ হয়। ফাঁকা লঞ্চ তো আর চালানো যায় না। যাত্রী হলেই লঞ্চ চলবে।