বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটসহ সবকিছুর সূচিতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। সূচি দিয়ে লোডশেডিংসহ নানা পদক্ষেপের কারণে দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার সচিবালয়ে নতুন সময়ে অফিসের প্রথম দিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেছেন, সূচি দিয়ে লোডশেডিংসহ নানা পদক্ষেপের কারণে দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। লোডশেডিং আমরা দিতে বাধ্য হয়েছি। কারণ আমাদের জ্বালানি ও গ্যাস সর্টেজ ছিল। ওই জায়গা থেকে আমরা লোডশেডিং ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম আগে যে ট্রেন্ড ছিল (বিদ্যুতের বেশি চাহিদা) সকাল ১০টা থেকে বাড়ে, এখন দেখলাম সকাল ৯টা থেকে বাড়া শুরু করেছে। এই মুহূর্তে ডেসকোর রিকয়ারমেন্ট প্রায় এক হাজারের উপরে চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এর মানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সিটির ভিতরে ডেসকো এবং ডিপিডিসির পিক আওয়ার থাকে দুপুরে, কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এটা আমরা চাচ্ছি যে সন্ধ্যা থেকে পিক আওয়ারটা যদি দিনের বেলায় চলে আসে তাহলে আমরা একটা ব্যালেন্স করতে পারব সন্ধ্যা এবং দিনের বেলা।’
‘আর একটা জিনিস আমরা আজকে থেকে নিশ্চিত করতে চাই, মধ্যরাত থেকে সেচ পাম্পের জন্য আগামী ১৫ দিন যেন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে। এটি আমার মনে হয় সম্ভব করে ফেলব। এটা আমি বলতে পারি। দেখা যাক, আগামী একটা সপ্তাহ আমরা দেখি। যদি এটা কার্যকর হয়, তাহলে অন্তত বিদ্যুতের ব্যালেন্সটা ঠিক করতে পারবো।’
এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লোডশেডিং আমরা কমাচ্ছি। আস্তে আস্তে কমে আসছে।’
বুধবার থেকে নতুন সূচিতে সরকারি অফিস ও ব্যাংক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ পরিবর্তনের ফলে বিদ্যুৎ কতটা সাশ্রয় হবে সে হিসাবও মিলছে না। এ নিয়ে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।