প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর দায় স্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ জুন ২০২৩ ২১:৫১:০২ | আপডেট: ২ years আগে
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুর দায় স্বীকার

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। তিনি আদালতে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

শুক্রবার পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী।

তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিকালে ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসময় বাবু চেয়ারম্যান সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

জবানবন্দি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বকশিগঞ্জ পাটহাটি এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়।

তাকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে বকশীগঞ্জ থানায়।

তাদের মধ্যে মাহমুদুল আলম বাবুকে পাঁচ দিন, ৬ আসামিকে চারদিন এবং অপর ৬ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান, জাকিরুল, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মিলন, তোফাজ্জল, আইনাল, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহীহ, মকবুল ও ওহিদুজ্জামান। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের প্রত্যেককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।