বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় অতীতে যে মান, নৈতিক ও নৈতিক মূল্যবোধ ছিল তা এখন নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সাংবাদিকদের পরিপক্ব হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মোমেন বলেন, আমার মনে হয় আমাদের দেশে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে।
শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি মিডিয়া তাকে ‘ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন,দেশের ১৭টি গণমাধ্যমে ব্যবহৃত শিরোনামগুলো ‘মিথ্যা এবং কাল্পনিক’।
মোমেন বলেন, গত ২৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘জাতিসংঘের আঙিনায় শেখ হাসিনা’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার পর কিছু গণমাধ্যম তাকে ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছিল।
মোমেন আরও বলেন, ‘প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইনসহ গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম সহ খবর প্রকাশ করেছে যে আমি (নাকি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে 'একটি যুদ্ধবাজ দেশ' বলেছিলাম, যা আমি বলিনি। সেখানে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তার সাথে ১৭টি মিডিয়ার সংবাদের শিরোনামের কোন সম্পর্ক নাই। আমি মনে করি আমাদের সাংবাদিকদের দুর্বলতা আছে এবং তারা পরিপক্কতা পেলে আমি খুশি হব।’
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে ‘তার ভুল উদ্ধৃতি’ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা মনে হয় তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সত্যকে ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে আমাদের সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বিরূপ পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। হয় এই সাংবাদিকরা ঠিকমতো বাংলা বুঝেন না কিংবা ইচ্ছা করে তারা এটা করেছেন। কেন দেশে এত নিম্নমানের সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তা নিয়ে সাংবাদিকদের গবেষণা করা দরকার।’