প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

সারাদেশে ভোট শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৮:৪০ | আপডেট: ৪ মাস আগে
সারাদেশে ভোট শুরু

সকাল ৮টায় সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সারাদেশের ৪২ হাজার ১৪৮টি কেন্দ্রে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বমোট ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নওগাঁ-২ আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী ওই আসনের ভোট স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ওই আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে একটি আসন ছাড়াই রবিবার সম্পন্ন হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা।

এরইমধ্যে সারাদেশে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্চ নির্বাচন আয়োজনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররা নিজ নিজ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররাও ভোট প্রদান করবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজধানীর শান্তিনগর হাবীব উল্লাহ বাহার কলেজে ভোট দেবেন। সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকা-৮ আসনের এ কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়া অন্যান্য কমিশনারগণও রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে ৪৩৬ জন। দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংখ্যা ২৬৬ জন। এছাড়া জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির রয়েছে ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রয়েছে ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী চূড়ান্ত নির্বাচনি লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ, এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৪৯ জন।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো হল, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণ ফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পাটি, জাতীয় পার্টি-জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পাটি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) ও গণতন্ত্রী পার্টি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নির্বাচনি পরিবেশ ভোটারদের অনুকূলে রাখার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সারাদেশে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার। এছাড়াও থাকছে সেনাবাহিনী। সব মিলিয়ে ৮ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকবেন নির্বাচনি নিরাপত্তা নিশ্চিতে।