প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ জুন ২০২৩ ১৪:৫০:৪৪ | আপডেট: ১০ মাস আগে
সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৫
ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী ট্রাক ও শ্রমিকবাহী পিকআপের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৫ জনে দাড়িয়েছে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১১ জন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও চারজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস, সিলেট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ৯ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হারিছ মিয়া (৫০), সৌরভ (২৫), সাধু মিয়া (৪০), তায়েফ নুর (৪৫), সাগর (১৮), রশিদ মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (৫৫), বাদশা মিয়া (৪৫) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ওয়াহিদ আলী (৪০)।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপে প্রায় ৩০ জন নারী-পুরুষ নির্মাণ শ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।

খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান। আর ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জুয়েল আহমদ সকাল পৌনে ৯টার দিকে জানান, হাসপাতালে মারা গেছেন আরও চারজন।

এদিকে, দুর্ঘটনার পর নাজির বাজারের দু'দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় তিন ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কটিতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি এবং সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের লাশ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠাই।’

তিনি আরও বলেন, 'আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা আশপাশে সন্ধান চালাচ্ছি আর কোনো হতাহত পড়ে আছে কি না দেখার জন্য।'