সিলেট ভয়াবহ বন্যার পানি কমতে শুরু করার পর পরেই আবার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বিরাজ করছে।
বন্যার প্রভাবে ইতোমধ্যে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এ অবস্থায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয়ার মানে হচ্ছে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। এতে সিলেটবাসীকে শতাব্দির সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেটের বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, ফেঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট উপজেলায় ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট এখনও অর্ধেকেরও বেশি পানির নিচে বলে জানা গেছে।
বালাগঞ্জ-ওসমানীনগরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, পানি স্থির হয়ে আছে। বালাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য মানুষ এখনও বাস করছেন। অসংখ্য মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যান্য উপজেলাগুলোর চিত্রও প্রায় এক।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, আগামী কয়েক দিন সিলেটে বৃষ্টি হতে পারে। ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটের দিকে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। এতে আবারও পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেট নগরে মঙ্গলবার সকালে ও রাতে বৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, আগামী কয় দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। এতে পানি বৃদ্ধি পাবে কি না, আগেই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু ভারতে বৃষ্টি হলে সিলেটে পাহাড়ি ঢল নামতে পারে। এতে ফের বন্যার শঙ্কা আছে।