প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

স্বেচ্ছায় রক্তদানের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ আগস্ট ২০২২ ১১:৫৭:৫৫ | আপডেট: ৩ years আগে
স্বেচ্ছায় রক্তদানের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার | পুরনো ছবি

জীবন রক্ষায় স্বেচ্ছায় রক্তদানের চেয়ে মহৎ কিছু হতে পারে না। রক্তদাতারা জাতির আলোকিত মানুষ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

এ সময় তিনি রক্তের চাহিদা মেটাতে স্বেচ্ছা রক্তদানের চর্চা পারিবারিকভাবে ছড়িয়ে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এমন কিছু রোগ আছে বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের অনেককেই মাসে দু’তিন বার রক্ত দিতে হয়। এক সময় পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে রক্ত কিনতে হতো কিন্তু সে দৃশ্য এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মাধ্যমে রক্তের এই চাহিদা এখন অনেকটাই মিটানো সম্ভব হচ্ছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় করা আবশ্যক। দুজন থ্যালাসিমিয়ার বাহক যাতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হয়, সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, রক্তের সাথে জীবন জড়িত। আর সেই জীবন হচ্ছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের জীবন। তিনি বলেন, মানুষ তার নিজের কর্মের জন্যই সম্মানিত হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতারাও তাদের কর্মের জন্যে সম্মানিত। তারা শুধু নিজের কাছে নয়, সমগ্র জাতির কাছে সম্মানিত।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ির অবজ্ঞাখ্যাত বাংলাদেশ আজ সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সৃদৃঢ় এই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই বৈশ্বিক মন্দার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অগ্রগতির সোপানে। তিনি বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আমদানিনির্ভর বিলাসী পণ্য ব্যবহারে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে কমপক্ষে তিন বার, ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন, এমন প্রায় তিনশ স্বেচ্ছায় রক্তদাতাকে সনদপত্র, আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ সময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ৫০ বার রক্তদাতা ছালেহ আহমেদ এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী সাবেকা রহমান আশপিয়া।