গত বছর বাংলাদেশিদের জন্য ১৫ লাখের বেশি ভারতীয় ভিসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। যা ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে একটি রেকর্ড।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যাহ্নভোজ সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে দ্রুত ও সহজে ভিসাপ্রাপ্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য শুধু ভিসার আবেদন গ্রহণের জন্য ভিসাকেন্দ্রের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে তা-ই নয়, বরং চাহিদার বিপরীতে পর্যাপ্ত ভিসাপ্রাপ্তি যাতে নিশ্চিত হয় তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীরাও ভিসা নিয়ে অনেক সময় কথা বলে থাকেন। তবে তারা ভিসা পাচ্ছেন না, এমন কিন্তু হচ্ছে না। তবে আরও দ্রুত ও সহজে ভিসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সময় বহুমাত্রিক যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তিনি বলেন, স্থলবন্দরগুলোকে আরও কার্যকর করা ও আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা ও দিল্লির বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির পদক্ষেপ ও বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের পারস্পরিক বিনিয়োগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করেছে বলে মনে করেন তিনি।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বিশেষ ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের প্রচলন করা যেতে পারে। এ বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রুপি ও টাকায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য করার বিষয়েও দ্রুত সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এমসিসিআইয়ের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিমসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।