প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

‘২০২৪ সাল শুরু হয়েছে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বায়ু এবং শ্রবণ বিধ্বংসী শব্দ নিয়ে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৩৪:২৮ | আপডেট: ১ year আগে
‘২০২৪ সাল শুরু হয়েছে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বায়ু এবং শ্রবণ বিধ্বংসী শব্দ নিয়ে’

২০২৪ সালের নববর্ষে রাত ১১টা থেকে ১২টার তুলনায় পরবর্তী ১ ঘণ্টার বায়ু দূষণের পরিমাণ প্রায় ৬৪ মাইক্রোগ্রাম (৩৫%) বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বোচ্চ বায়ুদূষণ (বস্তুকণা২.৫) রেকর্ড হয় ২৪৯ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার যা বায়ুমান সূচকে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচিত। বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর গবেষণায় এ তথ্য জানা যায়।

ক্যাপস গবেষণা দল গত ৭ বছর যাবত ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বায়ু ও শব্দ দূষণের তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় নববর্ষ উদযাপনের কয়েক ঘন্টা আগে ও পরে বায়ু এবং শব্দ দূষণের মাত্রা পরিমাপ করা হয়।

আতশবাজি, পটকা বা এ-জাতীয় শব্দ সৃষ্টিকারী বস্তু সাধারণত পটাসিয়াম পারক্লোরেট, বিষাক্ত বেরিয়াম নাইট্রেট, পার্লাইট পাউডার, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম খাদ ও মাটি-পাথর ইত্যাদি দিয়ে তৈরী হয়। এগুলো পোড়ানোর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বায়ু দূষণকারী পদার্থ নির্গত করে, যার মধ্যে রয়েছে বস্তুকণা ২.৫ ও বস্তুকণা ১০, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, এবং কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি। এই দূষকগুলো হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।

ক্যাপসের গবেষণা দল মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখতে পায়, রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু করে ভোর ৫টা পর্যন্ত আতশবাজি ও পটকা ফুটানো হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয়েছে রাত ১২ থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। ২০২৪ সালের প্রথম ঘন্টায় শব্দ দূষণহার গতদিনের (৩০ডিসেম্বর) তুলনায় প্রায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পায় এবং বেশিরভাগ সময় শব্দের মাত্রা ৮০ থেকে ৯০ ডেসিবলের মধ্যে ছিল। ৭০ ডেসিবলের অধিক শব্দ মানুষ সহ পশু-পাখির কানের বধিরতা সৃষ্টি করতে সক্ষম এমনকি এই শব্দ গর্ভপাত, শিশুমৃত্যু ও বয়স্কদের হার্টের ঝুঁকিও বাড়ায়। নববর্ষের উদযাপনের এই প্রচণ্ড শব্দে পাখিরা ওড়াউড়ি করে এবং গাছে বা বিল্ডিংয়ের দেয়ালে আঘাত পেয়ে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে এমনকি মারাও গেছে।