ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সৃষ্ট ঝড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী-শিশুসহ অন্তত ২৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ড্রেজার ডুবে, গাছ ভেঙে পড়ে, দেয়াল ধসে এবং পানিতে ডুবে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় এ মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটে।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ড্রেজার ডুবে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। আজ মঙ্গলবার তাদের মধ্যে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনও মারনা গেছেন বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস। তাদের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা। এ ছাড়া জেলার সীতাকুণ্ডে এক শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সিত্রাংয়ের কারণে জোয়ারের পানিতে শিশুটি নিহত হয়ে লাশ ভেসে এসেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
রাজধানী: গতকাল ঝড়ের সময় রাজধানীর হাজারীবাগে দেয়াল ধসে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।
কুমিল্লা: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গতকাল রাত ১১টার দিকে ঝড়ো বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক দম্পতি মারা গেছেন। এ সময় তাদের চার বছরের শিশুও মারা গেছে।
ভোলা: সিত্রাংয়ে ভোলা সদর, জেলার দৌলতখান, লালমোহন ও চরফ্যাশনে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের প্রাণ গেছে গাছের ডাল পড়ে, বাকি একজন পানিতে ডুবে মারা গেছেন।
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দুজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার পাঁচ কাহনীয়া ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামে গাছ চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়েও দুজন নিহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের সদরে যমুনা নদীর একটি খালে নৌকাডুবিতে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আর পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবিতে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও নড়াইলের লোহাগড়া, বরগুনা সদর, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এবং শরীয়তপুরের জাজিরায় গাছ ভেঙে চাপা পড়ে একজন করে মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় ভারি বর্ষণ আর জলোচ্ছ্বাস সঙ্গী করে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এরপর থেকেই উপকূলের জেলাগুলোতে ঝড়ো হাওয়া আর ভারি বর্ষণ শুরু হয়। যার রেশ সারাদেশেই দেখা গেছে।