প্রচ্ছদ ›› জাতীয়

৪ কোটি টাকার বেশি সম্পদ হলে দিতে হবে সারচার্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জুন ২০২৩ ১৯:৪০:৫২ | আপডেট: ২ years আগে
৪ কোটি টাকার বেশি সম্পদ হলে দিতে হবে সারচার্জ

বিত্তবান ব্যক্তিদের নিট সম্পদকে সরকারের রাজস্ব বর্ধন অভিযানের আওতায় আনার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাতে বলা হয়েছে, কারও সম্পদমূল্য চার কোটি টাকা পার হলেই তার কাছ থেকে সম্পদের জন্য ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হবে। আর যাদের সম্পদমূল্য ৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে তাদেরকে ৩৫ শতাংশ সম্পদ কর দিতে হবে বলেও প্রস্তাব করেছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, বিত্তশালী ব্যক্তি করদাতাদের কাছ থেকে নিট সম্পদের ভিত্তিতে সারচার্জ আদায় করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে বিধানটি কার্যকর রয়েছে।

ব্যক্তি করদাতার সারচার্জ সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আয় ও সম্পদ এর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এই সারচার্জ আরোপের ন্যূনতম সীমা বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে ‘সারচার্জ আহরণের বিধান পরিচালন সহজ করা এবং মধ্যবিত্তের করভার লাঘবের’ কথা তুলে ধরেছেন মন্ত্রী।

এই সারচার্জ আয়করের বাইরে। এবার বাজেটে করমুক্ত আয় সীমা করা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে আয় এক লাখ টাকা বেশি আয় হলে ৫ শতাংশ, তিন লাখ টাকা বেশি হলে ১০ শতাংশ, চার লাখ টাকা বেশি হলে ১৫ শতাংশ, ৫ লাখ টাকা বেশি হলে ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট টাকার ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেট ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। তা সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।