মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। শীতল বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি কুয়াশা বৃষ্টি ঝরছে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু প্রকৃতি। তাপমাত্রার আরও অবনতি হয়ে নেমে এসেছে ৬ এর ঘরে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ জেলার জনজীবন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। এর আগে, গতকাল একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিলো ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জানা গেছে, সকালে ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্য উঁকি দিলেও শীতের তীব্রতা রয়েছে। শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে ছুটে চলছে খেটে খাওয়া মানুষ। রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীরে একটু উষ্ণতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। এ ছাড়া ভোরে ভারী যানবাহনগুলোকে লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আজ কুয়াশা না থাকায় তাপমাত্রা কমেছে ও জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরদিক থেকে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরও কয়েকদিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।