মাত্র দেড় ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা! একসময় বিষয়টি সপ্নের মতো মনে হলেও পদ্মা সেতুর বদৌলতে তা বাস্তবে রুপ নিয়েছে। এর ফলে সড়কপথে প্রমত্তা পদ্মা পাড়িসহ যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও ঝামেলাহীন হয়েছে। যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান, মিলছে সুফলও। তেমনি পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে মাত্র ৮৮ মিনিটে গোপালগঞ্জ থেকে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরেছে ওমর আলী নামের এক যুবক।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে মঙ্গলবার থেকে অফিস-আদালত খুলেছে। গতকাল সোমবার ঈদের তিন দিনের ছুটি শেষ হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। তাদেরই একজন ওমর আলী।
গত ২৫ জুন পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর ঈদে প্রথম সেতু দিয়ে বাড়ি যান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ওমর আলী। সপ্নের পদ্মাসেতু তার ঈদযাত্রার অংশ হওয়ায় অনেক উচ্ছ্বসিত এ যুবক।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া থেকে কর্মব্যস্ততার নগরীতে ফিরেছেন তিনি। সময় লেগেছে মাত্র ৮৮ মিনিট। দ্য বিজনেস পোস্টকে জানিয়েছেন তার অনুভূতির কথা।
তিনি বলেন, প্রতি ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় আসলে এক ধরনের আনন্দ কাজ করে। কিন্তু যাত্রাপথের কথা চিন্তা করলে সেই আনন্দে কিছুটা হলেও ছিটা ধরত। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবারের পরিস্থিতি পুরো ভিন্ন। কিছুটা ভিড় আর জ্যাম থাকলেও ইদযাত্রা ছিল যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটি শেষেও মাত্র দেড় ঘন্টায় গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় চলে এসেছি। ঢাকায় এসেও তেমন যানজট চোখে পড়েনি। অল্প সময়ের মধ্যেই অফিসে পৌঁছে গিয়েছি।
এদিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর, বনানী, মহাখালী, নাবিস্কো, তিব্বতসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কম। কিছু গণপরিবহন দেখা গেলেও সেগুলোয় যাত্রীসংখ্যা খুবই কম। প্রায় সবগুলো মোড়ই ছিল ফাঁকা।
ঈদের ছুটি শেষ হলেও আমেজ যেন এখনো কাটেনি। অনেকেই যোগ দেননি অফিসে। বাড়তি ছুটি নিয়ে পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটাচ্ছেন।
এর আগে গত রোববার সারা দেশে উদযাপিত হয় পবিত্র ঈদুল আজহা। গত বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। ঈদ উপলক্ষে ৯, ১০ ও ১১ জুলাই ছিল সরকারি সাধারণ ছুটি। ঈদের ছুটির আগে দিন ছিল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি।