প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মে ২০২৩ ২০:১১:৪৩ | আপডেট: ২ years আগে
আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুর নিচে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন,‘আজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্তরীণ অবস্থায় রয়েছেন; মিথ্যায় মামলায় সাজা দিয়ে তাকে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত হয়ে আছেন। আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলা দিয়েছে এই আওয়ামী লীগাররা।’

তিনি বলেন, ‘তারা সেদিনও (১৯৭২-৭৫ সাল) ক্ষমতায় ছিল। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে সেদিনও বাকশাল করেছিল। তারা আবারও ভিন্ন মোড়কে একদলীয় বাকশাল করতে চায়। কিন্তু কথায় বলে না, মানুষ ভাবে এক; হয়ে যায় আরেক।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও কত লাফালাফি, কী লাফালাফি এখন লাফালাফি কমে এসেছে। সুর নিচে নেমে এসেছে। এখন বলা হচ্ছে- সংঘাত চাই না (ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে)। আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে সমাধান করতে হবে। আমরা তো বাধা দিচ্ছি না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সেদিনও আমাদের সমস্ত জেলার কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু জেলায় কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কেরাণীগঞ্জে আমাদের নিপুণকে আহত করা হয়েছে। কত চক্রান্ত আমাদের খোকন-শিরীনের নামে নরসিংদীতে মিথ্যা হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নিজেরা হত্যা করে ষড়যন্ত্র করে আমাদের নেতাদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। গায়েবি মামলা, কিছুই ঘটবে না- একটা মামলা হয়ে গেল। কিছু নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বাকি অজ্ঞাত হিসেবে এই মামলা দেওয়া হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে এই লড়াই করছি। এই লড়াই এখন একটি চূড়ান্ত পর্যায় এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১০টি দাবি দিয়েছি। তার প্রথম দফা হচ্ছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই দেশের মানুষ তোমাকে ক্ষমতায় রেখে দেশের মানুষ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তা মনে করে না- এটাই বাস্তবতা। এই সংসদ যে সংসদে তুমি সংবিধান পরিবর্তন করেছ, সংবিধানকে বিভিন্ন কাঁটাছেড়া করে পরিবর্তন করে যে সংসদ রেখেছ, সেই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

দলের প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন,‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীতে আমাদের সবচেয়ে বড় শপথ হবে, যে কোনো মূল্যে আমাদের জীবনের মূল্যে হলেও এই ভয়াবহ ভোটচোর, দেশবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বাঁচাতে হলে, বাস্তবায়িত করতে হলে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রীকে মুক্ত করতে হলে, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাজনীতিবিদ হিসেবে সফল, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও সফল, সৈনিক হিসেবেও সফল। আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা শহীদ জিয়াকে ভয় পায়। তাই তার সম্পর্কে অবান্তর কথা ছড়ানো হচ্ছে। দেশকে চলমান সংকট থেকে মুক্ত করতে শহীদ জিয়ার আদর্শিত সৈনিকদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।’