প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

‘আ.লীগ একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে’

নিজেস্ব প্রতিবেদক
২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৯:১২:৪৫ | আপডেট: ৩ years আগে
‘আ.লীগ একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে’

আওয়ামী লীগ এখন দেশে একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন একদলীয় শাসনের সঙ্গে এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে এখন স্বৈরতন্ত্র কায়েম করছে। পত্র পত্রিকা ও বিভিন্ন দেশ আওয়ামী লীগকে এবং এ সরকারকে স্বৈরাচারী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সুনির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানের ওপরে।’

মঙ্গলবার শহরের হাজীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

এসময় ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ নিজেরাই টের পাচ্ছেন তারা এখন সম্পূর্ণ একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে রয়েছে। সুতরাং এটা নতুন করে রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলার মতো না। আমরা কখনোই কোনো রাষ্ট্রদূতকে ডাকি না। রাষ্ট্রদূতরা আমাদের অফিসে এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এটি নিয়মিতভাবে আগে যেমন করছেন এখনও তেমনই করছেন। সেখানে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার কিছুই নাই। আপনাদের পত্র পত্রিকায় যেসব খবর প্রকাশিত হয় সেগুলো যথেষ্ট প্রমাণ যে বাংলাদেশের এখন কী অবস্থা চলছে।

তিনি বলেন, দুঃখজনক ব্যাপার আওয়ামী লীগ সরকার পুরোপুরিভাবে আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এখন মূলত তারা সম্পূর্ণ সামরিক-বেসমারিক আমলাতন্ত্রের ওপরেই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার ফলে তারা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন আমাদের কাছে হাস্যকর মনে হয় এবং জনগণের কাছেও হাস্যকর মনে হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকার কলাবাগানের খেলার মাঠ রক্ষার বিষয়ে একজন নারী ও তার কিশোর ছেলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রমাণ করে তারা কতটা স্বৈরাচারি ও পাওয়ারফুল।

সম্প্রতি নিউমার্কেটের ঘটনা সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ঢাকা কলেজের ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছে তার প্রত্যেকটি সংবাদমাধ্যমে পরিষ্কারভাবে উঠে এসেছে যে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণগুলোর সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা সংঘর্ষে জড়িত ছিল তারাও আওয়ামী লীগের অনুসারী। অযথা কাকে নিয়ে গেলো, বিএনপির নেতাকে অ্যারেস্ট করে নিয়ে গেলো। তিনদিনের রিমান্ডও দিলো। এই যে একটা পুরোপুরি দলীয়করণ প্রশাসনকে, বিচার বিভাগকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীকে এ সব ঘটনা নতুন করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয় না। প্রতিনিয়ত ঘটছে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠের নেতারা।