প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য মারা গেছেন। রোববার রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। নিউমোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৭ এপ্রিল থেকে ঢাকার পান্থপথের ‘হেলথ অ্যান্ড হোপ’ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
ঈদের দিন শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান।
১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলায় রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে জন্ম নেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। বাবা শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার ভট্টাচার্য ও মা মনি কুন্তলা দেবী।
ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে ১৯৫৯ সালে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি।
ষাটের দশকের স্বৈরশাসক আইয়ুব-ইয়াহিয়াবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য।
মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টি গেরিলা বাহিনীর সংগঠক ছিলেন পঙ্কজ ভট্টাচার্য। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরাম গঠনের সময় দলটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন তিনি।
পরে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নামে দেশের প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন তিনি। ২০১৩ সালে ঐক্য ন্যাপ নামে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন।
সমকালীন রাজনীতির স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেননি তিনি। অর্থ, প্রতিপত্তি, ক্ষমতা, লোভ তাকে কখনো বিচ্যুত করতে পারেনি।