প্রায় ১০ মাস পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সাত সদস্য শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তার বাসভবনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যেভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেভাবেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য দলের চেয়ারপার্সন জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্কে জানতে চান। তিনি তাদের দুর্দশা সম্পর্কে অবগত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সম্পর্কেও অবগত আছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বিদ্যমান চরম গরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
সাধারণত ঈদ উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়াকে দেখে তারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখনও খুব অসুস্থ এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান।
গত বছর ঈদুল আজহায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপি নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েক বছর পর খালেদা জিয়া তার প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে নিয়ে এবার ভিন্ন ঈদ উদযাপন করেছেন।
জাফিয়া ও জাহিয়া গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে দাদির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকায় আসেন এবং তাদের মা সিঁথি গত বছরের নভেম্বরে লন্ডন থেকে দেশে আসেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশ ত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। এরপর থেকে তিনি তার বাসাতেই অবস্থান করছেন।