নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতাই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে যত সুন্দরভাবেই সাজানোর চেষ্টা করুক, লাভ নেই। বিগত সময়ে এ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনকে দেখেছে দেশের জনগণ। নির্বাচন কমিশনকে তারা গৃহপালিত করে রেখেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠ নির্বাচনের কোনো ক্ষমতাই নেই।
রোববার ঠাকুরগাঁও শহরের মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ফখরুল বলেন, দেশে আজ যে অরাজকতার পরিবেশ বিরাজ করছে তাতে দেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের জনগণ জানেনা দেশের ভবিষ্যৎ কি, কি হতে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে তারা আন্দোলন সংগ্রাম করে। তাদের সে আন্দোলনে তাদের নেতৃত্বে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য ১৭৬ টি হরতাল তারা দিয়েছিলো। তখন অনেক লোক আহত ও হত্যার শিকার হয়।
দেশটা অচল করে দিয়েছিলো তারা। আমাদের নেত্রী তাদের সে দাবি মেনে নিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিয়েছিলো বলেই তারা ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলো। অথচ পরবর্তীতে তারাই তাদের নীতিগত দিক ভুলে নির্দলীয় সরকারের প্রথাটাই বন্ধ করে রেখেছে। তারা জানে যে দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তাদের এত ভয়।
ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়েই নতুন নির্বাচনের মধ্যমে দেশে উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য লড়াই করতে হবে। তাই আমরা ১০ ও ২৭ দফা দাবি দিয়েছি। সেই ২৭ দফার মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশের আমূল পরিবর্তনের কথা বলেছি।
সমস্ত অন্যায় ও অবৈধ শক্তিকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটি শান্তির ও সুন্দর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দলটির সকলকে শপথ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, যুব দলের সভাপতি আবু নুর চৌধুরী ও গড়েয়া ছাত্রদল নেতা এম শাহ্ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।