প্রচ্ছদ ›› রাজনীতি

বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না: মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:২২:৩৪ | আপডেট: ৩ years আগে
বক্তব্য প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না: মুরাদ
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বলা ‘কুরুচিপূর্ণ’ ও ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন না বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।

সোমবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিকে এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি এসব বক্তব্য দিয়ে কোনো ভুল করেননি। এগুলো তিনি প্রত্যাহারও করবেন না কিংবা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে সরকার ও দলের ওপর থেকে কোনো চাপও নেই।

গত শনিবার বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টক শোতে অংশ নিয়ে অপর আলোচক বিএনপির নেত্রী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে আলোচনার একপর্যায়ে ‘মানসিক রোগে আক্রান্ত’ এবং তার ‘চিকিৎসা দরকার’ বলে মন্তব্য করেন। সেই সময় দুইজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া লেগে যায়।

এর দুদিন আগে ইউটিউবে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যাকে উদ্দেশ করে আপত্তিকর বক্তব্য দিতে দেখা যায় তাকে।

ইউটিউবের ওই টক শোতে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বলতে শোনা যায়, আমার মুখ ভীষণ খারাপ।

তার এসব বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে। এর আগেও নানা রকম বক্তব্যের জন্য আলোচনায় উঠে এসেছেন জামালপুর-৪ আসনের এই এমপি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেছেন, তিনি বক্তব্য দেওয়ার আগে তাকে ‘নোংরা ভাষায়’ আক্রমণ করে কথা বলেছেন শীর্ষস্থানীয় ওই বিএনপি নেতার কন্যা।

তিনি বলেন, আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।

আর টক শোতে হাজির হয়ে বিএনপি নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে আক্রমণ করে মন্তব্য করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি যদি ওই টক শোটা দেখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আমি কেন বলেছি। আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসেবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত।

তবে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, মুরাদ হাসান যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতেন, তাহলে দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এ ধরনের মন্তব্য তিনি করতে পারতেন না।

পেশায় চিকিৎসক মুরাদ হাসান আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে প্রথমে মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য থেকে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।